সুনামগঞ্জে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার আহ্বান


Harun Miah প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ৭:০৬ পূর্বাহ্ন /
সুনামগঞ্জে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার আহ্বান

সুনামগঞ্জে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার আহ্বান

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

“সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এক কর্মশালা সভা।

মঙ্গলবার দুপুরে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এমআইপিএস প্রকল্পের আওতায় শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরী হল রুম এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

পিস এম্ব্যাসেডর নেটওয়ার্ক সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী নুরুল হক আফিন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এমআইপিএস প্রকল্পের এমএন্ড ই, সিার্চ এন্ড নলেজ ম্যানেজম্যান্ট অফিসার ফাতেমা মাহমুদা, মোঃ সায়েদুল ইসলাম, এ এস এম আতক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর একে কুদরত পাশা।

সভায় বক্তারা বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনে রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিকসহ সকল মহলের সম্মিলিত উদ্যোগের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এফসিডিও’র অর্থায়নে পরিচালিত মাল্টি স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি (এমআইপিএস) প্রকল্পের অংশ হিসেবে আয়োজিত সভায় সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ফাতেমা মাহমুদা বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা চিহ্নিত, প্রতিরোধ ও প্রশমনের মাধ্যমে একটি সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলাই এমআইপিএস প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।” তিনি আরও জানান, দেশের ২৭টি জেলার ৭৪টি উপজেলায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং সাংবাদিকরাও এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক এডভোকেট খলিল রহমান বলেন, “গণমাধ্যম যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তবে তারা শান্তি রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

সাংবাদিকরা বলেন, “শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। পাশাপাশি সংলাপের মাধ্যমে সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

“এমআইপিএস প্রকল্পে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সহিংসতার পাশাপাশি মাদক ও কিশোর গ্যাং ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।” সভা থেকে আরও উঠে আসে তথ্য যাচাই, গবেষণাভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরি, সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ আয়োজনের নানা প্রস্তাবনা।

বক্তারা একমত পোষণ করেন যে, শান্তি ও সম্প্রীতির সমাজ গঠনে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য, এবং এই লক্ষ্য অর্জনে সকল মহলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজুসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।