শান্তিগঞ্জে চাচি ভাতিজার প্রেমের জেরে প্রবাসী মনির খুন, গ্রেফতার ৩
মোঃ বদরুজ্জামান বদরুল, শান্তিগঞ্জ থেকে ফিরেঃ-
মনির হুসেন একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। পরিবারের তাগিদে তিনি আবর আমিরাত ( দুবাইয়ে) থাকতেন। কিন্তু যার সুখের জন্য তার প্রবাসে ঘাম ঝড়াতেন তিনিই হলেন তার পথের কাটা। প্রবাসের কষ্টের পর ছুটি কাটাতে আসেন বাড়িতে। কিন্তু এ বাড়ি আসা যে শেষ আসা এটা তার জানা ছিলো না। তার স্ত্রী জনি বেগম (২৬) মনির প্রবাসে থাকায় পাশের বাড়ির তারই ভাতিজা রাজনের সাথে ছিলো তার দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্ক। এই সম্পর্কের জের ধরেই প্রাণ হারায় প্রবাসী মনির। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মনিরের বাড়িতে কান্নার মাত্তম। মনিরের জনম দুখীনি মা, ও দুটি এতিম সন্তানের কান্নায় আকাশ পাতাল ভারী হচ্ছে । মনিরের মায়ের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজনের সাথে ছিলো তার পুত্রবধুর অবৈধ সম্পর্ক। মনির প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রীর সাথে শারিরিক সম্পর্কে ও জড়িয়ে পরে রাজন। মনির তিন বছর প্রবাস থেকে বাড়ি ফেরায় । জনি বেগমের কাছে যেতে পারেনি রাজন। রাজন ও জনি বেগমের পরিক্লপনায় রাজনের ভাই রিদয় ১১ই জানুয়ারি রোজ শনিবার রাত অনুমান ০৭ ঘটিকায় হাওরে মাছ শিকারের কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঘর থেকে নিয়ে যায় প্রবাসী মনির কে। মনির জানতো না যে তাকে হত্যা করা হবে । পরে রাজন ও তার ভাই রিদয় সহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী হাওরের বোর জমিতে অমানবিক ভাবে গোপনাঙ্গ , নাক, কান গলা কেটে হত্যা করে তাকে। নিহত মনির হোসেনের মেয়ে জানায়, আব্বু বাড়িতে আসার আগে রাজন ভাইয়া প্রতিদিন রাত্রে আমার আম্মুর কাছে আসতেন। আব্বু আসার পর তিনি আর আসেনি। নিহত মনিরের চাচা জানায়, এই জামাল উদ্দিনের ছেলে রিদয় ডেকে নেয় আমার ভাতিজাকে কিন্তু পরদিন সকাল বেলা এই ঘাতক রিদয় তার মাকে সংবাদ দেয় যে মনির মৃত। সারা রাত অতিবাহিত হয় তার স্ত্রী জনি বেগম আমাদেরকে একবারো জানায়নি যে মনির ঘরে ফিরেনি। জনি বেগম ও রাজনের পূর্ব পরিকল্পনায় আমার ভাতিজা খুন হয়। আমরা অসহায় মানুষ। আমারা আমার ভাতিজার খুনীদের ফাসি চাই।
উল্লেখ্য রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালের দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমি থেকে পুলিশ নাক-কান কাটা রক্তাক্ত প্রবাসী মনিরের লাশ উদ্ধার করা করে ময়নাতদন্তে মর্গে পাঠায় । এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মনিরের স্ত্রী জনি বেগম সহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। এব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম আলী বলেন, আমরা জিজ্ঞাসাবাদে জন্য জনি বেগম সহ তিনজকে আটক করেছি। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :