দিরাই রাজানগরে চাউল নিয়ে ইউপি সদস্যদের চালবাজি, উপকারভোগীরা যাবে কোথায়?


Harun Miah প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন /
দিরাই রাজানগরে চাউল নিয়ে ইউপি সদস্যদের চালবাজি, উপকারভোগীরা যাবে কোথায়?

দিরাই রাজানগরে চাউল নিয়ে ইউপি সদস্যদের চালবাজি, উপকারভোগীরা যাবে কোথায়?

দিরাই প্রতিনিধিঃ-

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগরে চাউল নিয়ে ইউপি সদস্যদের মধ্যে চালবাজি শুরু হয়েছে।

চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের একটি অংশ ঘটনা ভিন্নখাতে ন্দেঈয়ার জন্যে দোষারুপ করছে এক ইউপি সদস্যকে, অপর দিকে সেই ইউপি সদস্য অভিযোগের তীর ঘুরিয়ে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান ও বাকি ইউপি সদস্যদের দিকে। সরজমিন মাঠে গিয়েও পাওয়া যায় বিপরীত চিত্র।

চেয়ারম্যান পহ্নী ইউপি সদস্যদের সাথে আলাপকালে তারা জানান- রাজানগর ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কর্মসুচির আওতায় উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের জন্য রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদে চাল আসে। এ চাল সরবরাহ করার জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গাড়ি না পেয়ে একটি টলি ভাড়া করেন। টলিটি রাস্তায় নষ্ট হওয়াতে চাউল ইউনিয়ন পরিষদে পৌছতে প্রায় সন্ধ্যা হয়। উপকার ভোগীদের বাড়িতে যাওয়ার অনরোধ করেন ইউপি সদস্যরা কিন্তু তার বিপরীতে ৮ নং ইউপি সদস্য সাইদ আহমেদ খচরু উপকারভোগীদের লেলিয়ে দেন এবং সাঈদ আহমেদ খচরু সকল ইউপি সদস্যেদের বিপরীতে গিয়ে চিৎকার মেরে বলেন, আমি এই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আজই বিতরন হবে ফলে চেয়ারম্যান ও বাকি সকল সদস্যের সাথে এ নিয়ে তার বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। সকল সদস্যেদের সম্মান রক্ষার্থে ৩ নং ইউপি সদস্য আবু তাহের একটু সমোঝতার কথা বললেই সাইদ আহমেদ খচরু আবু তাহেরের উপর আরো উত্তেজিত হয়ে পরেন। উপকারভোগীদের চাউল বন্টন না করায় ৯৫ বস্তা চাউল সম্পুর্ন থাকে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে রাখার নিরাপদ জায়গা না থাকায় শংকিত হয়ে চেয়ারম্যান আবু তাহেররে বাড়িতে চাউল নিতে নির্দেশ দেন। এই সময় বাকি সকল ইউপি সদস্যেরা গুননা করে ৯৫ বস্তা চাউল আবু তাহেরের বাড়িতে পাঠান। আবু তাহের ৯৫ বস্তা চাউল উনার বসত গৃহে তুলার আগেই গ্রাম্যে মুরুব্বীদের উপস্থিত সাক্ষি রেখে ৯৫ বস্তা চাউল রাখা হয়য় কিন্তু চাল রাখতে না রাখতেই গচিয়া গ্রামের কয়েকজন উপকারভোগী মহলের মদদে ইউপি সদস্যে সাইদ আহমেদ খচরুর ইন্ধনে চাল আত্মসাতের মিথ্যা বানোয়াট নাটক সাজান বলে দাবি চেয়ারম্যানপহ্নীদের। মাষ্টারোল ও বিতরণ তালিকায় দেখা যায়- ৯৫ বস্তা চাউলের মধ্যে ৭৬ বস্তা চাউল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ১৯ বস্তা চাউল পরদিন সকাল বিতরনের কথা ছিল কিন্তু এটা নিয়েই একটি নাটক সাজান সাইদ আহমেদ খচরু। ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান- আমার সম্মান নষ্ট করার জন্যে আমার প্রতি ইর্ষান্বিত হয়ে আমারই পাশের ওয়ার্ডের সদস্যে সাঈদ আহমেদ খচরু আমার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিভিন্ন গণমাধমে আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি আমার ঘরে চাউল রাখি নাই, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের অনুরুধে আমি অই চাউল গুলা রাখি, মাষ্টার রোলের উপকারভোগীদের ও ইউপি সদ্যস্যেদের স্বাক্ষরে ৭৬ বস্তা চাউল বিতরন করি, যাহা মাষ্টারোল এ প্রামাণিত আছে। বাকি চাউল গুলো সকালের বিতরণের কথা ছিলো। কিন্তু সাঈদ আহমেদ খচরু আমার মান সম্মানের উপর আঘাত করে এই নাটক সাজান, যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট,। আমি ও আমার পরিবার সম্পর্কে এলাকার সকলেই প্রায় অবগত।

এব্যাপার রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের ইউনিয়নে চাউল নেওয়ার সময় রাস্তায় গাড়িটি নষ্ট হয়, ফলে চাউল পৌছতে দেরী হয়। ইউনিয়নে নিরাপদ জায়গা না থাকার কারণে আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপ পরিচালক এ,জে এম, রেজাউল আলম স্যারকে অবগত করি যে আমার ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহেরের বাড়িতে চাউল রাখবো, ডিডি স্যার সম্মতি ও প্রকাশ করেন, কারণ বিগত দিন আমরা আবু তাহেরের বাড়িতে চাউল রেখে বিতরন করেছি এর মধ্যে ৯৫ বস্তা চাউলের মধ্যে সবাইকে নিয়ে ৭৬ বস্তা চাউল করা হয়। গতকাল দুপুর ১২ ঘটিকার সময়, প্রাণীসম্পদ অফিসার ও সাংবাদিকএবং ৩নং ইউ পি সদস্যর উপস্থিতে বাকী ১৯ বস্তা চাল বিতরন করা হয়।।

কিন্তু আমাদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাইদ আহমেদ খচরু মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করান, যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট। এলাকার মানুষদের কাছ থেকে আপনারা ভালো জানতে পারবেন।

এব্যাপারে ৮ নং ওয়াডের সদস্য সাইদ আহমেদ খচরু বলেন- সকল ইউ পি সদস্য উপস্থিতে ৬ তারিখ চাউল বন্টন হয় টেগ অফিসার ছিল না। ইউনিয়ন অফিসে চাউল রেখে বন্টন করার নিয়ম থাকলেও চেয়ারম্যানের নির্দেশে আবু তাহেরের বাড়ি রেখে কিছু চাউল বিতরন করে বাকি চাউল চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে বিক্রয় করে দেয়।

বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পরে ইউএনও প্রতিনিধি হিসেবে প্রানী সম্পদ অফিসার, সাংবাদিকসহ আবু তাহের মেম্বারের উপস্থিতে ১৯ বস্তা চাউল বিতরন হয়, এগুলো হজম করতে না পেরে এখন আমার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান ও আবু তাহের মিথ্যাচার করছেন।