প্রবাসীদের দাবি একটাই পূর্ণ আন্তর্জাতিক সিলেট বিমানবন্দর চাই অন্য এয়ারলাইন্সের সুযোগ দিন, প্রবাসী হোক বৈষম্যবিহীন। শ্লোগানে মুখরিত লন্ডনের ঐতিহাসিক আলতাব আলী পার্ক।


Harun Miah প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৬, ২০২৪, ১:৪১ পূর্বাহ্ন /
প্রবাসীদের দাবি একটাই পূর্ণ আন্তর্জাতিক সিলেট বিমানবন্দর চাই অন্য এয়ারলাইন্সের সুযোগ দিন,  প্রবাসী হোক বৈষম্যবিহীন। শ্লোগানে মুখরিত লন্ডনের ঐতিহাসিক আলতাব আলী পার্ক।

 

প্রবাসীদের দাবি একটাই
পূর্ণ আন্তর্জাতিক সিলেট বিমানবন্দর চাই
অন্য এয়ারলাইন্সের সুযোগ দিন,
প্রবাসী হোক বৈষম্যবিহীন। শ্লোগানে মুখরিত লন্ডনের ঐতিহাসিক আলতাব আলী পার্ক।

স্টাফ রিপোর্টারঃ-

গত ২২ শে আগস্ট রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৬:৩০ মিনিটের লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে ব্রিটিশ বাংলাদেশি এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেটের মূল্য বৈষম্যে এবং সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর কে একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে রূপদানের মাধ্যমে অন্যান্য বিদেশী এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু করে প্রবাসী বৃটিশ বাংলাদেশীদের ছেলে সন্তান এবং বৃদ্ধ অসুস্থ মা-বাবাকে নিয়ে যাতে সিলেটে একটি ন্যায্য মূল্যে নিজের দেশে যাতায়াত করতে পারেন এই সুবাদে ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিটি ভয়েস ইউ.কে আয়োজিত “লুটিলার”
দিনের প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দাবি করেন; বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ঢাকা হেড অফিসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নতুন চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, এছাড়াও লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং বিমানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ব্যাক্তি বর্গের কাছে।
নিম্নোক্ত পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হলো;
১. লন্ডন থেকে সিলেট রুটে বিমানের টিকিটের মূল্য এবং লাভের স্বচ্ছতা প্রদান।
২. অন্যান্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের সাথে মিল রেখে লন্ডন থেকে সিলেট রুটে বিমানের টিকিটের দাম কমানো।
৩. বিমানের অনলাইন টিকিট কেনার সিস্টেম শুরু করা, যেখানে দাম এবং ফি আগেই দেখানো হয়।
৪. বিমানের টিকিট বিক্রির মূল্য নির্ধারণ এবং সিন্ডিকেট কেলেঙ্কারি বন্ধ করা।
৫. লন্ডন থেকে সিলেট রুটে অন্যান্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলোকে সিলেট অবতরণের অনুমতি দেয়া এবং সিলেট ওসমানীকে প্রকৃত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করা।

তবে এই সভার মূল আলোচনার মধ্যে ছিল বিমান এয়ারলাইন্স লন্ডন থেকে সিলেট রুটের টিকিটের উচ্চমূল্য, মূল্য বৈষম্য, অবিচার এবং সিলেট যাত্রীদের প্রতি অন্যায় আচরণের আসল কারণ চিহ্নিত করা এবং সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটি ভয়েসের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন চাকলাদার এবং যৌথ ভাবে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাসের আল-আমিন এবং ভাইস চেয়ারম্যান এন্ড মিডিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং সাবেক কাউন্সিলর শাহ সোহেল আমিন। বক্তব্য রাখেন বিবিসিভি সংস্থার পক্ষ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান জামালুর রহমান ও সহকারী সেক্রেটারি তমিজুর রহমান রঞ্জু, এবং হাফসা ইসলাম (বিবিসিভি মহিলা কর্মকর্তা)।

প্রধন অথিতি হিসেবে বক্তৃতা করেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর ব্যারিষ্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ, আব্দুল মুমিন জাহেদী কেরল-সাংবাদিক, শমসুল হক – কমিউনিটি সমাজকর্মী, লুকমান উদ্দিন – কমিউনিটি সমাজকর্মী, দিলাওয়ার হুসাইন – কমিউনিটি সমাজকর্মী, আবু হুরায়রা সাব মাস্টার – কমিউনিটি সমাজকর্মী, আজম আলী – কমিউনিটি কর্মী আব্দুর রব – কমিউনিটি সমাজকর্মী, কামাল উদ্দিন – কমিউনিটি সমাজকর্মী, সুয়েজ মিয়া – কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট, রুপিয়া বেগম-কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট বক্তব্য রাখেন। এ সময় আরও অনেকগুলো সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনের কমিটির সদস্যরা বক্তব্যে রাখেন।

ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটি ভয়েস বিশ্বাস করে যে এটি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ১ মিলিয়ন ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে যাওয়া ও সহজ যোগসূত্র স্থাপনের জন্য একটি কমিউনিটি ক্যাম্পেইন।যদি ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা বাংলাদেশে সহজে যাতায়াত করতে পারে তবে বাংলাদেশের ইকোনোমিতে তাদের কন্ট্রিবিউশন বাড়বে এবং বাংলাদেশে ইনভেস্ট করতে সাহস পাবে।

বিমান আমাদের জাতীয় বাহক এয়ারলাইন, আমাদের গর্ব এবং সম্পদ এর থেকে আমরা আরও ভালো সেবা পওয়ার দাবিদার এবং দাবি করাটা আমাদের ন্যায্য অধিকার।
অনেক চেষ্টা ও লেখালেখির পর ও আমরা বিমান ইউকে কান্ট্রি ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে পারিনি অথবা কোন ভাল জবাব পাইনি।
আমাদের উপরুক্ত দাবিগুলি স্পষ্ট এবং আলোচনাযোগ্য এবং যতক্ষণ না বিমান এয়ারলাইন্স ব্রিটিশ গ্রাহকদের লুটপাট বন্ধ না করবে এবং আমাদের দাবি পূরণ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই বিবিসিভি “লুটিলার” প্রচারাভিযান বিমানের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে। সর্বোপরি এটাই বলব “আমাদের দাবি একটাই সিলেট বিমানবন্দর পূর্ণ আন্তর্জাতিক চাই
সিলেটে অন্যান্য এয়ারলাইন্সের যাতায়াত চাই।