‘এই ইংল্যান্ড ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে দল’


Sylheter samachar24 প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩০, ২০২৩, ৬:০৩ পূর্বাহ্ন /
‘এই ইংল্যান্ড ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে দল’

বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় ব্রিটিশরা। ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবারের আসরের শুরু থেকেই পরাজয়ের বৃত্তে আটকে আছে। বাংলাদেশকে হারালেও আফগানিস্তানের মতো উঠতি দলের বিপক্ষে হেরে যায় ইংরেজরা।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হারায় ব্রিটিশরা। এরপর টানা চার ম্যাচে আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকার পর আজ ভারতের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নেয় ইংল্যান্ড।

ছয় ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানীতে পড়ে আছে ইংল্যান্ড। দলের এমন বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ইয়ন মরগান বলেছেন, চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স দেখে একদমই বোঝার উপায় নেই, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা।

স্কাই স্পোর্টসে মরগান বলেছেন, ‘আমার মতে, দলের মধ্যে ভিন্ন কিছু চলছে। অবশ্যই কিছু না কিছু আছে। আমি কখনও কোনো খেলায় এমন দল দেখিনি যারা ইংল্যান্ডের মতো আন্ডারপারফর্ম করেছে। বিশেষ করে তাদের কাঁধে যেমন প্রত্যাশা ছিল। দলের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই কোনো অস্থিরতা রয়েছে। তারা যে কৌশল ব্যবহার করতে চাচ্ছে এবং যেভাবে ম্যাচগুলো হেরেছে, এটি অবশ্যই ড্রেসিং রুমের ভেতরে মনোবল ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা রাখে। স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থায়ই থাকার কথা এটি’।

মরগান আরও বলেন, ‘আপনি যদি এই দলের শক্তির গভীরতা দেখেন, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে কাগজে-কলমে অন্যান্য যে কোনো দলের মতোই শক্তিশালী ইংল্যান্ড। কিন্তু তারা এখনও তেমন কিছু করতে পারেনি। তারা দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভুল করেছে। টুর্নামেন্ট জেতার কথা বাদ, একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল করার ক্ষেত্রেও তাদের ভুগতে হয়েছে। এটি জস (বাটলার) ও তার দলের জন্য অবিশ্বাস্যরকমের চ্যালেঞ্জিং। দীর্ঘ দিন ধরে যে পদ্ধতিতে তারা দুই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, সেটি ব্যবহার করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ম্যাচের জন্য সময়টা আসলে এর চেয়ে আর বাজে হতে পারত না। ঘরের মাঠে এই টুর্নামেন্টে এমনিতেই পরিষ্কার ফেভারিট ভারত। তাদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা বড় হয়ে গেছে এখন, যেটা হয়তো নতুন পিচে খেলার চেয়ে অনেক বেশি।’